Tuesday, November 16, 2010

দেশের মাটিতে ক'দিন: পর্ব ০২

সকাল এগারটা কুড়ির দিকে জার্মান সময়ে বিমান রওয়ানা দিয়ে বাহরাইন অভিমুখে। প্রায় ৮ ঘন্টার টানা যাত্রা। বাহরাইনে গিয়ে পৌঁছাবে সন্ধ্যা সাতটা কুড়িতে। সাধারণত: বিমান যাত্রায় মাঝপথটা বড্ডো বিরক্তিকর মনে হয়। হঠাৎ করে মনে হয়, সময় কাটছে না। আমি চোখ বুঁজে সময় কাটাবার চেস্টা করি। তার মাঝে বিমানবালা এসে দুপুরের খাবার পরিবেশন করল। কোনকিছুই ভাল লাগছে না। মনটা কেমন যেন দোটানায় পড়ে আছে। একদিকে ভাবছি আমার স্ত্রী আর সন্তানরা ঠিক এখন কি করছে? স্কুলের পথে। অন্যদিকে ভাবছি, বাবা কি করছে? হয়তো প্রহর গুণছেন। একমাত্র ছেলেকে কাছে ফিরে পাওয়ার আনন্দ কতো গভীর। সারাদিন শেষে আমার ছেলেমেয়েরা যখন প্রতিদিন দু বাহুতে আশ্রয় নেয়, তখন বাবা হওয়ার আনন্দটা গভীরভাবে বোধ করি। আর আমার বাবা যখন বছর শেষে তার ছেলেকে কয়েক সপ্তাহের জন্য ফিরে পায়, তখন তার আনন্দ ও তৃপ্তি কতোটা গভীর ও বিশাল তা এখান থেকে একটু অনুভব করার চেস্টা করি।

Tuesday, November 9, 2010

দেশের মাটিতে ক'দিন: পর্ব ০১

হঠাৎ করেই আমার দেশে আসার সিদ্ধান্ত হলো। বাবা বেশ ক' মাস থেকেই অসুস্থ। তাকে দেখার জন্যই ৩ সপ্তাহের ছুটিতে নিয়ে ঢাকায় ফেরা। যেমন কথা তেমন কাজ। খোঁজ খবর করে পাওয়া গেল গালফ এয়ার-এর টিকেট। স্ত্রী আর সন্তান সন্ততিকে দেশে রেখা একা দেশের বাড়ীতে আসার মধ্যে যতোটা রোমাঞ্চ, ততোটাই কস্ট। বুধবার দিন অফিস করার কথা বেলা ১টা পর্যন্ত। তারপর বাড়ী ফিরে বাক্স-পেটরা নিয়ে বিমান বন্দরের দিকে ছুটতে হবে বিকেল পাঁচটার মধ্যে। শেষ মুহুর্ত্বে অফিসের কাজ শেষ করতে করতে বেরোলাম আড়াইটা। ফোনে স্ত্রীকে বললাম, লাগেজের ভেতরটা আরেকবার গুছিয়ে রাখতে। বাড়ী ফিরলাম সোয়া তিনটা। স্ত্রী'র হাত থেকে লাগেজ ওজন করতে গিয়ে দেখি ওজন ৫০ এর চেয়ে কয়েক পাউন্ড বেশী। মনে মনে প্রমাদ গুণলাম। বললাম, যা হবার হয়েছে। বিমান বন্দরে গিয়েই ওজনের ঝামেলা মেটাব।

Saturday, August 7, 2010

Remembering Kobi Guru Rabindranath Tagore

In order to express our tribute to Robindronath Thakur's (May 7, 1861–August 7, 1941), on his death anniversary, I've put this documentary made by Satyajit Ray. Tagore will always stay alive in our heart as a Bengali poet, novelist, musician, painter and playwright who reshaped Bengali literature and music.

Thursday, May 6, 2010

তুমভি কাঁঠাল খায়া

এক কাবুলিওয়ালা বাংলাদেশে নতুন আসিয়াছে বাজারে যাইয়া দেখে বড় বড় কাঁঠাল বিক্রি হইতেছে। পাকা কাঁঠালের কেমন সুবাস! না জানি খাইতে কত মিষ্টি! তাহার দেশে তো এত বড় ফল পাওয়া যায় না। মাত্র আট আনা দিয়া মস্ত বড় একটা কাঁঠাল সে কিনিয়া ফেলিল। কাঁঠালটি লইয়া সে একবার ঘ্রাণ শুঁকিয়া দেখে, আবার কাঁধে লইয়া দেখে। তারপর খুশিতে নাচিতে নাচিতে কাঁঠালটি বাসায় লইয়া গেল। আমরা জানি, কাঁঠাল খাইতে হইলে হাতে তেল মাখাইয়া লইতে হয়, ঠোঁটে তেল লাগাইয়া লইতে হয়। তাহা না করিলে কাঁঠালের আঠা হাতে মুখে লাগিয়া যায়। সাবান পানি দিয়া কিছুতেই তোলা যায় না। কাবুলিওয়ালা নতুন লোক। এসব কিছুই জানে না। সে দুই হাতে কাঁঠালটি ধরিয়া কামড়াইতে লাগিল। কাঁঠালের আঠা তাহার হাতে লাগিল, দাড়িতে লাগিয়াই দাড়ি জট পাকাইয়া গেল; কিন্তু সেদিকে কে খেয়াল করে! এমন মিষ্টি কাঁঠাল আর এমন তার খোশবু! সে ছোবড়াসমেত সমস্ত কাঁঠালটি খাইয়া ফেলিল।

Saturday, April 10, 2010

কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা

ব্যস্ত সময়ে যখন একটু অবসর পাই তখন মনে হয় কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা। কবিগুরুর মতো মনে মনে নয়। সত্যি সত্যি। এখানকার দর্শনীয় স্হানের মধ্যে রয়েছে ন্যাচারাল ট্রেইল, ঘন সবুজ বন, পার্ক আর নদী।

Thursday, April 1, 2010

শুরু হলো পটোম্যাকের তীর থেকে শব্দের বুনন

অনেক বছর ধরেই প্রবাসে বসবাস। বাস করি পটোম্যাক নদীর খুব কাছে। পটোম্যাক নদী বছর ধরে বয়ে চলে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির পাড় ঘেঁষে। আমেরিকার দু'টি অঙ্গরাজ্য ম্যারিল্যান্ড আর ভার্জিনিয়ার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আটলান্টিক সাগরে মিশে যায়। অবসর পেলেই পটোম্যাকের তীরে বসে সময় কাটাই। গোধুলি লগ্নে নীল আকাশ রক্তিম হয়ে উঠে, সাদা মেঘ দল বেঁধে আকাশে ভেসে বেড়ায়। এ রকম সময়ে পটোম্যাকের শান্ত ঢেউগুলো আমাকে মুগ্ধ করে রাখে, দোলায় আমার মনকে। শুরু হয় শব্দের বুনন।

নদীর তীর দিয়ে সীগাল উড়ে যায়। বন্য হাঁসগুলো ভাসতে ভাসতে অলস সময় কাটায়। তার মাঝে মনে পড়ে হাজার হাজার মাইল দূরে বাংলাদেশের কোন এক নদীতে ভাসমান এক পানকৌড়ির কথা। ভাবি, নিজেও যেন একটা পানকৌড়ি হয়ে গেছি।